ওভারটেক করতে গিয়ে বাস চিংড়ি ঘেরে, নিহত ২

সাতক্ষীরায় একটি বাস আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে বাসটি পাশের চিংড়ি ঘেরে পড়ে যায়
প্রথম আলো

যাত্রীবাহী একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে অপর বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি রাস্তার পাশের চিংড়ি ঘেরে গিয়ে পড়ে। এতে বাসের দুই যাত্রী নিহত হন। আহত হন সাতজন। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের তালা উপজেলার শাকদাহ ব্রিজের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামের রামপদ মণ্ডল (৩৫) ও একই এলাকার অতিঙ্কর মণ্ডল (২৮)। আহত সাতজন হলেন খুলনার বটিয়াঘাটা থানার শান্তিনগর গ্রামের বাসিন্দা ও বটিয়াঘাটা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আরিফুল ইসলাম (১৯), বাসচালকের সহকারী খুলনার মিলন (২৮), মকফুর রহমান (৪৮), শহীদুল ইসলাম (৪৭), সাগর হোসেন (১৮), সোলায়মান হোসেন (৩৪) ও সামছুল আরেফিন (৩৪)।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলেজছাত্র আরিফুল ইসলাম বলেন, শ্যামনগরে যাওয়ার জন্য তিনি আজ সকাল সাতটার দিকে খুলনা জিরো পয়েন্ট থেকে সাতক্ষীরাগামী যাত্রীবাহী বাসে ওঠেন। সকাল আটটার দিকে তাঁদের বাসটি সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের শাকদহ সেতুর কাছে অপর একটি বাসকে ওভারটেক করতে যায়। চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি উল্টে পাশের চিংড়ি ঘেরের পানিতে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ গিয়ে বাসের মধ্যে থাকা দুজনের লাশ উদ্ধার করে। এ ছাড়া তিনিসহ আহত সাতজনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সাতক্ষীরা ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপপরিচালক তারেক ভূঁইয়া হতাহতদের উদ্ধারের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শারমিন ফিরোজ বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসের চালকের সহকারী মিলনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে খুলনা ৫০০ শয্যার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন আরিফুল এখন বিপদমুক্ত।

তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শিদ বলেন, নিহত রামপদ মণ্ডল ও অতিঙ্করের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে।