ওসি প্রত্যাহার না হলে নির্বাচন বয়কটের হুমকি বিএনপি প্রার্থীর

মেয়র নির্বাচন কেন্দ্র করে নগরের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন
ছবি: জুয়েল শীল

নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ওসি নেজাম উদ্দিন ও বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জামানকে প্রত্যাহারের মৌখিক দাবি জানান শাহাদাত। দাবি না মানলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেন তিনি।

মেয়র প্রার্থী শাহাদাত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ৮ দফা লিখিত দাবি পেশ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে। এর মধ্যে রয়েছে ভোটার লাইনে বহিরাগতদের ঠেকাতে জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা, ইভিএমের প্যানেল সুরক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনকে সামনে রেখে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার প্রভৃতি।

শাহাদাত হোসেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বুধবার রাতে নগরের নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণসহ হামলার ঘটনায় ওসি নেজামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। শাহাদত বলেন, দুদিন আগে থানায় যোগ দিয়ে ওসি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়া ওসি নেজাম উদ্দিন এবং বাকলিয়া থানার এসআই জামান ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে হুমকি–ধমকি দিচ্ছেন।

পরে গণমাধ্যমকে শাহাদত বলেন, ওসি নেজাম ও এসআই জামানকে প্রত্যাহার করা না হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি।

অভিযোগ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ ও দাবি শুনেছেন। যেসব বিষয় তাঁর এখতিয়ারে রয়েছে সেগুলোর সমাধান তিনি করবেন। বাকিগুলো নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।’

বুধবার রাতে নগরের নাসিমন ভবনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।