ওসি প্রদীপসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা

প্রদীপ কুমার দাশ। ফাইল ছবি

টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। ২০ লাখ টাকা দাবি করে না পেয়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ওই মামলা হয়। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের জিমনখালী এলাকার নুর বাহার বাদী হয়ে রোববার দুপুরে কক্সবাজার আদালতে এ মামলা করেন। নুর বাহার নিহত মিজানুর রহমানের ভাই।

এর আগে কক্সবাজারের বিভিন্ন আদালতে চাঁদার টাকা না পেয়ে বিভিন্ন লোকজনকে বন্দুকযুদ্ধে হত্যার অভিযোগে ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ শতাধিক পুলিশের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা হয়েছে। রোববারের মামলাটি করা হয় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ–৩) মো. হেলাল উদ্দীনের আদালতে। মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রধান আসামি করা হয়।

বাদীর আইনজীবী জুলখার নাইন সাংবাদিকদের বলেন, ফৌজদারি মামলার এজাহারটি আমলে নিয়েছেন আদালত। ওই দিনের ঘটনায় থানায় করা মামলার নথি, নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মিজানুর রহমান কর্মজীবী মানুষ। গত ৪ এপ্রিল টেকনাফ থানা পুলিশ মিজানুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তাঁর বাড়িঘর, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। ২০ লাখ টাকার চাঁদা না দিলে মিজানুরকে বন্দুকযুদ্ধে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এর মধ্যে নানাভাবে জোগাড় করে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়। অবশিষ্ট ১৮ লাখ টাকা দিতে না পারায় ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে বন্দুকযুদ্ধে মিজানুর রহমানকে হত্যা করা হয়।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ৪ দফায় টানা ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে গত শনিবার তাঁকে (প্রদীপকে) কক্সবাজার কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে নেওয়া হয়। সোমবার প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।