কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আগুন, রোগী নিয়ে দৌড়ঝাঁপ-হইচই

অগ্নিকাণ্ড
প্রতীকী ছবি

২৫০ শয্যার সরকারি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আজ বুধবার সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রোগীদের দৌড়ঝাঁপ-হইচইয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্বজনদের অনেকে পাঁচতলা ভবনের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে রোগীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। হাসপাতালে আজ রোগী ভর্তি ছিল প্রায় ৬০০ জন। তবে এ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের প্রচেষ্টায় আধঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে হাসপাতালের নিচতলার স্টোররুম থেকে আগুনের সূত্রপাত। সেখানে কীভাবে আগুন লেগেছে, তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। মুহূর্তে আগুন নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ে। আধঘণ্টার মধ্যে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলে পুরো হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ, কান্নাকাটি ও হইচই শুরু হয়। বেশ কিছু রোগীকে অক্সিজেনের অভাবে কাতরাতে দেখা গেছে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আগুন-আতঙ্কে হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ৬০০ রোগীর অধিকাংশ ওয়ার্ড ত্যাগ করে বাইরে নেমে গিয়েছিলেন। তবে জটিল রোগের রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থায় হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। আগুন বাড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় বলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ, কান্নাকাটি ও হইচই শুরু হয়। বেশ কিছু রোগীকে অক্সিজেনের অভাবে কাতরাতে দেখা গেছে। কিছু রোগীকে হাসপাতালের বাইরে রেখে অক্সিজেনসহ জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। দুই শতাধিক রোগীকে আশপাশের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।