কক্সবাজারে কটেজে ব্যবসায়ীর লাশ, পরিবার বলছে পরিকল্পিত হত্যা

লাশ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার সৈকতের কলাতলীর ‘সুইটহোম’ নামের একটি কটেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবদুল মালেক (২৭) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি শহরের বাদশাঘোনা এলাকার জাকের হোসেনের ছেলে। তিনি ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী ছিলেন। পুলিশের দাবি, গলায় তার পেঁচিয়ে মালেককে হত্যা করে পালিয়েছেন অপর দুই যুবক।

এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সুইটহোম কটেজের ব্যবস্থাপক সৌরভ কবির বলেন, গত সোমবার সকালে ঢাকা থেকে আসা মো. বাবু ও মো. নজরুল ইসলাম কটেজের ৩০২ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেন। পরে সেখানে যোগ দেন আবদুল মালেকও। দিনভর তিনজন কক্ষেই ছিলেন।

কটেজের কর্মচারীরা বলেন, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে আসা দুই যুবক বাবু ও নজরুল কক্ষ থেকে বাইরে গেলেও রাতে আর ফেরেননি। ভেতরে থেকে যান মালেক। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটা পর্যন্ত মালেকের সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজায় টোকা দিয়ে ডাকাডাকি করেন তাঁরা। ভেতর থেকে কেউ সাড়া দেননি। পরে কটেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কক্ষের তালা ভেঙে খাটের নিচ থেকে মালেকের লাশ উদ্ধার করে।

হোটেলের নিবন্ধন খাতায় পালিয়ে যাওয়া দুই যুবকের ঠিকানা উল্লেখ আছে। সেখানে বলা আছে, একজন ঢাকার খিলগাঁও থানার মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা আবদুস সালামের ছেলে মো. বাবু এবং একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম।

সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু রায়হান বলেন, গলায় তার পেঁচিয়ে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। গলায় তার প্যাঁচানোর দাগ আছে। হত্যার পর মালেকের মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে গেছেন অন্যরা। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিহত আবদুল মালেকের বড় ভাই আবদুল খালেক বলেন, কাজের কথা বলে আবদুল মালেকের মাঝেমধ্যে বাইরে থাকার অভ্যাস আছে। এ কারণে রাতে বাড়ি না ফিরলে তেমন খোঁজখবর রাখা হয় না। বিকেলে কটেজ থেকে ফোন দিয়ে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানালে তিনি ঘটনাস্থলে যান। তাঁর দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছোট ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আবদুল মালেক ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন।