কক্সবাজারে ট্রাক উঠে গেল ফুটপাতে, আইনজীবীসহ নিহত ৩

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার সৈকতের কলাতলীতে গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক ফুটপাতে উঠে পড়ে। এ সময় ট্রাকের চাপায় আইনজীবী, পর্যটকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। দুমড়েমুচড়ে যায় দুটি ভাসমান দোকান, দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও দুটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক টমটম। এ ঘটনায় অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত তিনজন হলেন কলাতলীর দক্ষিণ আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা মোহনা বেগম (৬৫), ঢাকার উত্তরা থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটক শাহাদাত হোসেন (৩৮) ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মো. ওসমান গণি (৫৫)। তাঁরা সবাই পথচারী।

মোহনা বেগম ও শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যান। আর আজ রোববার ভোররাত চারটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আইনজীবী ওসমান গণি।  

দুর্ঘটনার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ট্রাফিক পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম রকিবুর রাজা প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাকটি চট্টগ্রাম থেকে সিমেন্ট নিয়ে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা এলাকায় যাচ্ছিল। পথে কলাতলীতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকটি সড়কের পাশের ফুটপাতে উঠে যায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে। ট্রাকের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে শাহাদাত হোসেন ৫ মার্চ সকালে কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। ওঠেন কলাতলীর একটি হোটেলে। স্ত্রী ও সন্তানদের হোটেলে রেখে তিনি রাত ১০টার দিকে কলাতলী এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় যাচ্ছিলেন খাবারের জন্য। এ সময় তিনি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শাহাদাত হোসেন ও মোহনা বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত আইনজীবী ওসমান গণিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তিনি মারা যান।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাকের চাকার নিচ থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে দুজন মৃত ছিলেন, অন্যজন গুরুতর আহত ছিলেন।

পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাইয়ের কারণে ট্রাকটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অনেক রাত বলে কলাতলীর মোড়ে লোকজনের সমাগম তেমন ছিল না। দিনের বেলায় এই দুর্ঘটনা হলে পর্যটকসহ অনেক প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।