কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হচ্ছে আড়াই হাজার গরু

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গাশিবির
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দাদের জন্য পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য কেনা হচ্ছে আড়াই হাজার গরু। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) টেকনাফ ও উখিয়ার বাজার থেকে পশুগুলো কিনে ক্যাম্পে হস্তান্তর করছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত অন্তত দেড় হাজার গরু ক্যাম্পে পৌঁছানো হয়েছে। রাতের মধ্যে অবশিষ্ট গরু কিনে ক্যাম্পে সরবরাহ করা হবে।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা প্রথম আলোকে বলেন, এবারের ঈদে রোহিঙ্গাদের জন্য আড়াই হাজার গরু কেনা হচ্ছে। শিবিরের ভেতরে সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু এনজিও এই গরু কিনে দিচ্ছে। আরআরআরসি কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে গরুগুলো প্রতিটি শিবিরের ব্লক মাঝিদের মাধ্যমে জবাই করে রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে মাংস পৌঁছে দেওয়া হবে। এর আগে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গাদের জন্য দুই শতাধিক গরু পাঠানো হয়েছে।

তবে আড়াই হাজার গরু নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের নেতারা। তাঁদের দাবি, গত বছর ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য আট হাজারের মতো গরু কোরবানি দেওয়া হয়েছিল। এবার তাদের জন্য মাত্র আড়াই হাজার গরু। এতে বহু রোহিঙ্গা পরিবার মাংস পাবে না।

উখিয়ার বালুখালী শিবিরে রোহিঙ্গা আছে ৭৮ হাজারের বেশি। এখানকার জন্য বরাদ্দ ৪০টির মতো গরু। এই শিবিরের রোহিঙ্গানেতা জামাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কেনা গরুগুলো আকারেও ছোট। প্রতিটির ওজন দুই থেকে তিন মণ। এতে বহু রোহিঙ্গা পরিবারে মাংস পৌঁছানো সম্ভব হবে না।

কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গানেতা জালাল আহমদ বলেন, গত বছরের কোরবানির ঈদে এই ক্যাম্পে ৭০টির বেশি গরু জবাই হয়েছিল। এবার ৫০টির বেশি গরু পাওয়া যাবে না। তবে ধনাঢ্য কয়েকজন রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফের বাজার থেকে গরু-মহিষ কিনে আনছেন।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার রোহিঙ্গারা কম গরু বরাদ্দ পাচ্ছে ঠিক। এতে কিছু রোহিঙ্গা পরিবারে মাংসপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তবে বহু রোহিঙ্গা পরিবার সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, মহিষ, ছাগল কিনে কোরবানি দিচ্ছে। শরণার্থীদের মধ্যে কারা মাংস পাবে, তা ঠিক করছেন রোহিঙ্গানেতারাই।