কটিয়াদীতে হামলায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু, তিনজন গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক পক্ষের হামলায় আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোরে মারা গেছেন। তাঁর নাম মাকসুদ মিয়া (৬৩)। তিনি উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বাট্টা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। এদিকে এ ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের সেলিম মিয়া (৩০), তাঁর বাবা হামদু মিয়া (৬৫) ও তাঁদের আত্মীয় আতিক মিয়া (২২)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উত্তর বাট্টা গ্রামের বাড়ির ২৫ শতাংশ জায়গায় দখলস্বত্ব রয়েছে মাকসুদ মিয়ার। সম্প্রতি গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি সেলিম ওই জায়গাটি নিজের দাবি করে দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উপায় না পেয়ে মাকসুদ বাট্টা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের সহযোগিতা চান।

গত বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ফাঁড়িতে এ নিয়ে সালিস হয়। সালিসে দুই পক্ষই উপস্থিত ছিলেন। সেলিম একপর্যায়ে সালিস ছেড়ে চলে যান। পরে পথে মাকসুদকে পেয়ে কুপিয়ে জখম করে সেলিমের পক্ষ। ওই দিনই মাকসুদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাকসুদ মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, ‘কয়েক বছর আগে সেলিম খুবই দরিদ্র ছিলেন। এখন অন্যের জায়গাজমি দখল করে কোটিপতি হয়ে গেছেন। বর্তমানে তাঁর চোখ পড়েছে আমাদের ভূমিতে। বাধা দেওয়ায় আজ আমার স্বামীর জীবন গেল।’

সেলিম গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন জানিয়েছেন, জায়গাটির ওপর সেলিমের প্রয়োজনীয় নথিপত্র রয়েছে। সেই কারণে গত বুধবার কিশোরগঞ্জের আদালতে একটি বাঁটোয়ারা মামলা করেন। বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় সালিসে বেশিক্ষণ না থেকে সেলিম চলে এসেছিলেন।

কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, মাকসুদ মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম হামলার ঘটনায় মামলা করেছিলেন। আসামি করেছিলেন ১১ জনকে। এখন মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। ওই ব্যক্তিদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।