‘কবি-সাহিত্যিকদের সৃষ্টিশীল চিন্তা সমাজকে শান্তির দিকে ধাবিত করে’

চুয়াডাঙ্গায় বাংলা একাডেমির আয়োজনে শনিবার সকালে হোটেল সাহিদ প্যালেসে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জেলা সাহিত্যমেলা। মেলায় অংশগ্রহণকারী কবি-সাহিত্যিকদের একাংশ
ছবি: প্রথম আলো

কবি-সাহিত্যিকদের সৃষ্টিশীল চিন্তা সমাজকে শান্তির দিকে ধাবিত করে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। আজ শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সাহিদ প্যালেসের রাফেল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জেলা সাহিত্য মেলা ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো চুয়াডাঙ্গায় এই সাহিত্য মেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। দুই দিনব্যাপী এ মেলায় জেলার দুই শতাধিক কবি-সাহিত্যিকের সম্মিলন ঘটেছে।

মো. আবুল মনসুর বলেন, কবি-সাহিত্যিকদের সৃষ্টিশীল চিন্তা সমাজকে শান্তির দিকে ধাবিত করে। এ ধরনের মিলনমেলা তাঁদের আন্তসম্পর্কের উন্নয়ন ও হৃদ্যতা বাড়ায় এবং দেশ ও দেশের মানুষের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটায়। এই সাহিত্য মেলা থেকেও দেশ উপকৃত হবে। এ সময় তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত কবি-সাহিত্যিক ও আয়োজনসংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের আয়োজনে কবি-সাহিত্যিকেরা নিজেদের মধ্যে চিন্তাভাবনার আদান-প্রদান করার সুযোগ পান। তাঁদের আত্মিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে। স্থানীয় কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে কেন্দ্রের সম্পর্কের উন্নয়নে ভবিষ্যতে এ ধরনের সাহিত্য মেলা অব্যাহত থাকবে।

সচিব জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবন ও মিলনায়তন তৈরির জায়গা নির্বাচন শেষে জুনে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। শিগগিরই অত্যাধুনিক শিল্পকলা ভবন পাবে চুয়াডাঙ্গাবাসী।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির পরিচালক হাসান কবীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার। চর্যাপদের গান শোনান সাধিকা সৃজনী তানিয়া এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক সাইমন জাকারিয়া।

প্রথম দিনের আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে সাহিত্য পাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে প্রাবন্ধিক আবদুল মোহিত ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার পূর্বাপর’, মুন্সি আবু সাইফ ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার কবিতা ও ছড়া’ এবং কাজল মাহমুদ ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার নাটক, কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুর রশিদ ও চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নাজমুল হেলাল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন।

মধ্যাহ্নবিরতির পর স্থানীয় কবি-সাহিত্যিকেরা স্বরচিত লেখা পাঠ, পঠিত লেখার ওপর আলোচনা এবং বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীকাল রোববার একই জায়গায় সাহিত্য রচনা বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।