কমলগঞ্জে দোকানপাট খোলা, মানুষের ভিড়ও আছে

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালাচ্ছেন ইউএনও আশেকুল হক। আজ সোমবার সকালে উপজেলার ভানুগাছ বাজারে
ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে ‘লকডাউন’ শুরু হলেও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তার প্রভাব খুব একটা দেখা যায়নি। সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলেছেন। ক্রেতারাও এসেছেন কেনাকাটা করতে।

আজ সোমবার সকাল থেকে উপজেলার শমশেরনগর ও ভানুগাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা সকাল থেকেই বিপণিবিতান, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ নিজ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দু-একটা করে শাটার খুলে বসে আছেন। ক্রেতারাও মালামাল এবং খাদ্যপণ্য কিনতে দোকানে আসা-যাওয়া করছেন। বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই মাস্ক ব্যবহারেরও তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি।

শমশেরনগর বাজারের হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের জন্য মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। যেখানে দুজন বসার কথা, সেখানে তিনজন বসে খাবার খাচ্ছেন। বাস ছাড়া অন্য সব যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। হাটবাজারে মানুষের বেশ উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

এদিকে সরকারের দেওয়া ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালিয়েছে। সোমবার সকালে ভানুগাছ বাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক ও দুপুরে শমশেরনগর বাজারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রদান করেন।

ইউএনও আশেকুল হক বলেন, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ‘লকডাউন’ বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা মাঠে আছেন এবং ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।