করোনা নমুনা পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনার নমুনা পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত ফি ১০০ টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ১০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন খান নামের এক মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্ত করতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূর মো. শামসুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদা সরকার নির্ধারিত ফি ১০০ টাকা জমা দিতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন খান বলেন, সরকার টেস্টের জিনিস ক্রয়ের জন্য টাকা দিচ্ছে না। তাই বেশি টাকা নিতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল মোহনগঞ্জ পৌর শহরের রাউৎপাড়া এলাকার ফরিদা ইয়াসমিন নামে এক গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি বিভাগে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। এ সময় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সাদ্দাম হোসেন খান তাঁর কাছ থেকে ২০০ টাকা দাবি করেন। ফরিদা সরকার নির্ধারিত ফি ১০০ টাকা জমা দিতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন খান বলেন, সরকার টেস্টের জিনিস ক্রয়ের জন্য টাকা দিচ্ছে না। তাই বেশি টাকা নিতে হচ্ছে। এরপর ওই নারী বাধ্য হয়ে ২০০ টাকা জমা দেন।

এ ঘটনার পর গত শনিবার ফরিদা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূর মো. শামসুল আলম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্তে আজ উপজেলা আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুবীর সরকারকে সভাপতি ও চিকিৎসা কর্মকর্তা শাকের আহমেদকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।