করোনা সংকটেও পুরোদমে চলছে পার্বতীপুরের দুই রেলইঞ্জিন কারখানা

পার্বতীপুর ডিজেল ওয়ার্কশপে কাজ করছেন শ্রমিকেরা। বুধবার তোলা
ছবি: প্রথম আলো

করোনা সংকটের মধ্যেও ভারী মেরামতকাজ অব্যাহত আছে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত দুটি রেলওয়ে ইঞ্জিন কারখানায়। চলতি অর্থবছরে ১০ মাসে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় মোট ৪৪টি ভারী ইঞ্জিন মেরামত হয়েছে। একই সঙ্গে বিশেষ মেরামতকাজও চালু আছে কারখানা দুটিতে।

দেশের সবচেয়ে আধুনিক রেলওয়ে ইঞ্জিন কারখানা হচ্ছে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা)। অপরটি হচ্ছে পার্বতীপুর ডিজেল ওয়ার্কশপ, যা ডিজেলচালিত লোকোমোটিভ।

কেলোকা সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে এ কারখানায় ইঞ্জিনের ভারী মেরামত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২২টি। কিন্তু কারখানার মেকানিক্যাল শাখায় লোকবল আছে ২১৫ জন। কারখানাটিতে শূন্য পদ আছে ৩৩০টি। ফলে ৬১ ভাগ লোকবল ঘাটতি নিয়ে চলছে এই উৎপাদন ব্যবস্থাপনা। এর ওপর করোনা মহামারির কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হচ্ছে কারখানাটিতে। চলতি অর্থবছরে এখানে ভারী মেরামত হবে ২১টি রেলওয়ে ইঞ্জিন। এরই মধ্যে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা ১৬টি ইঞ্জিনের ভারী মেরামত সম্পন্ন করেছেন। ইঞ্জিনগুলো ট্রাফিক বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার সরেজমিনে কেলোকার প্রধান নির্বাহী (সিএক্স) মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, কেবল ভারী ইঞ্জিন মেরামত নয়, এ কারখানায় সারা বছর ধরে চলে সাধারণ ও বিশেষ মেরামতকাজ। চলতি অর্থবছরে ৩৮টি রেলইঞ্জিন বিশেষ মেরামত করা হয়েছে। করোনাকালেও মেরামতকাজ থেমে নেই। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কারখানায়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকেরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

পার্বতীপুরের ডিজেল ওয়ার্কশপের কার্য ব্যবস্থাপক (ডাব্লএম) জহিরুল ইসলাম বলেন, তাঁদের কারখানায় ৩৩টি লোকোমোটিভের ভারী মেরামত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার ২৮টি এরই মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৩টি ইঞ্জিন বিশেষ মেরামতের আওতায় আছে। জুন মাস নাগাদ আরও দুটি ইঞ্জিন মেরামত করা হবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।