করোনাকালে ক্লাস নেওয়ায় জরিমানা গুনলেন প্রধান শিক্ষক

শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন এক শিক্ষক।
ফাইল ছবি

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে স্কুল খুলে পাঠদানের অভিযোগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার সকালে কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান। এ সময় সড়কে দেখতে পান কয়েকজন খুদে শিক্ষার্থী বইখাতা নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ইউএনও তাদের জিজ্ঞেস করেন, ‘কোথায় যাচ্ছ?’ শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

ইউএনও তাৎক্ষণিক কয়েক শ মিটার দূরে সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পান, দুটি কক্ষে অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসেন পাঠদান করছেন। এ সময় ইউএনও প্রধান শিক্ষককে ডেকে করোনাকালে ক্লাস নেওয়ার কারণ জানতে চান। তবে প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শ্রেণি পাঠদান অব্যাহত রাখায় প্রধান শিক্ষককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন ইউএনও। এ ছাড়া ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীবুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকারি আদেশ অমান্য করে বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান অব্যাহত রাখায় সংক্রামক রোগ (নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন বলেন, সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রাথমিকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইল প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসেন মুঠোফোনে বলেন, মূল্যায়ন পরীক্ষার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি ক্লাস নিচ্ছিলেন। প্রতিদিন নয়, মাঝেমধ্যে ক্লাস নেওয়া হয়।