করোনাভাইরাস আতঙ্কে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা বাকৃবির শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

করোনাভাইরাস আতঙ্কে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সব অনুষদের শিক্ষার্থীরা। অনুষদীয় ছাত্র সমিতির নেতারা গণস্বাক্ষর নিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে সরকারের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন উপাচার্য লুৎফুল হাসান।

শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ায় বেশ কিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন শিক্ষার্থীরা। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আজ ক্লাসে এসে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের জন্য গণস্বাক্ষর দেন। পরে অনুষদীয় ছাত্র সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজ দুপুরে শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছাত্র সমিতির নেতারা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে শিক্ষার্থীদের নেওয়া গণস্বাক্ষর অনুষদগুলোর ডিনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ছাত্র প্রতিনিধিরা।

কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে কয়েক দিন ধরে জনসমাগম ও ঝুঁকি এড়ানোর বিষয়ে শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের উৎকণ্ঠা কাটাতে সবার সম্মতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তায়েফুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, হল বন্ধ না করে শুধু ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করার সিদ্ধান্ত ঠিক হবে না। কারণ ক্লাসের চেয়ে হল ও ক্যাম্পাসের রেস্তোরাঁগুলোতে জনসমাগম বেশি হয়। শুধু ক্লাস বন্ধ করে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে না। তাই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পুরোপুরিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের বিষয়ে মত দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপাচার্য লুৎফুল হাসান বলেন, সরকারের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করার সুযোগ নেই। বিভিন্ন অনুষদের ছাত্রপ্রতিনিধিরা তাঁদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংক্রমণ কমাতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে জনসমাগম হয়, এ রকম সভা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।