করোনার মধ্যেও অর্থনীতি সচল রয়েছে

দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজামণ্ডপে সরকারি অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার বেলা ১১টায় বিরল উপজেলা মিলনায়তনেপ্রথম আলো

করোনা মহামারির মধ্যে যখন সমগ্র পৃথিবীর অর্থনীতি স্থবির হয়েছে, সেখানে সব প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েনি। তার বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে, গত বছর মহামারি ছিল না। তখন দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপে দেওয়া হয়েছিল ১২ হাজার টাকা। এবার নানান সমস্যা থাকা সত্ত্বেও উপজেলার ৯৪টি পূজামণ্ডপের প্রতিটিতে ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম সাড়ে তিন মাসে ৯ কোটি মানুষকে ত্রাণসহায়তা দিয়েছে সরকার।

এসব কথা বলেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় দিনাজপুরের বিরল উপজেলা মিলনায়তনে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার সব পূজামণ্ডপে সরকারি অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থায়নে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিরল রেলস্টেশন দুর্গামন্দির ও মঙ্গলপুর বেলকুড়িয়া মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ওপর আস্থা রেখে যখন বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী যখন শেখ হাসিনা, তখন করোনা কিংবা অন্য কোনো মহামারিতে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নাই’—সেই সময় অনেকেই আমার সমালোচনা করেছেন। অনেকে ‘ট্রল’ করেছেন। কিন্তু করোনা মহামারি মোকাবিলা করার পরে আমার মতো অনেকেই সেই কথা বিশ্বাস করেছেন। দেশের মানুষ আজ নিরাপদভাবে বসবাস করছে।’

বিএনপির উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণ ভালো আছে। অহেতুক জনগণকে আতঙ্কিত করবেন না। যেখানেই দুর্নীতি প্রমাণিত হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্ত সাপেক্ষে তাকে আইনের আওতায় আনছে। বিএনপির সময়ে লুটপাট করেও অনেকে পার পেয়ে গেছে। সেই সুযোগ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রাখেননি। অপরাধী যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁকে আইনের আওতায় আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাবের মোহাম্মদ শোয়াইব। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমুখ।