করোনায় অনেক কিছুই করছে কেয়ার

কেয়ারের হ্যালো প্লাস প্রকল্প  সম্প্রতি গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় স্বাস্থ্য  কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ ও সচেতনতা কার্যক্রম  পরিচালনা করে। ছবি: সংগৃহীত।
কেয়ারের হ্যালো প্লাস প্রকল্প সম্প্রতি গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে। ছবি: সংগৃহীত।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসক ও মানুষের পাশে দাঁড়িছে কেয়ার বাংলাদেশ। সংস্থাটির 'হ্যালো প্লাস প্রকল্প' সম্প্রতি গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে এসব সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, এখন স্বাস্থ্য কর্মীদের সবচেয়ে বড় সংকটে। তাঁদের জন্য এখন নিরাপত্তা সামগ্রীর খুবই প্রয়োজন।এ ছাড়া সাধারণ মানুষের পরিষ্কার–পরিছন্নতা একটি দরকারি বিষয়। এ পরিস্থিতিতে কেয়ার বাংলাদেশ এগিয়ে এসেছে।
মেয়র বলেন, তাঁদের এসব সামগ্রী খুব দরকারি ভূমিকা রাখবে।গাজীপুরে যেসব সামগ্রী দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে তালিকায় ছিল ৪৫০টি ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই), ৪০০ বাক্স ডিসপোজেবল মাস্ক, ৪০০ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫২০ লিটার তরল সাবান, ১০ হাজার সাবান, ১৫৫টি জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন, ৪৫০টি চোখ ঢেকে রাখার বিশেষ বেষ্টনী, ২ হাজার ৫০০টি হাতে ঘষার সামগ্রী।

বিশেষ অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেয়ারের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওয়াল্টার মাওুঁসা। তিনি বলেন, কেয়ারের নিরাপত্তা সামগ্রী সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য দারুণ সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ সময় স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় এটি দরকারি।তিনি সহযোগিতামূলক কাজের জন্য মেয়র ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন খাইরুজ্জামান বলেন, এখন পরিষ্কার–পরিছন্ন থাকার বিকল্প নেই। কেয়ার আমাদের যেসব পিপিই দিয়েছে, এতে চিকিৎসা কাজে অনেক উপকার হবে। এটি আরও বাড়ানো হলে চিকিৎসকেরা নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে।

গাজীপুর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ বলেন, দুই দফায় কেয়ার আমাদের নানা সামগ্রী দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তরল সাবান, হাতের গ্লাভস, স্প্রে মেশিন, হরলিকসসহ হাত পরিষ্কার রাখার নানা সামগ্রী। যেসব এলাকায় জনসমাগম বেশি, সেখানে আমরা এসব ব্যবহার করেছি। এসব সামগ্রী বেশ কাজে লেগেছে।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, টঙ্গীর সাবেক মেয়র মো. আজমত উল্লাহ খান, সিনিয়র সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমান ও কেয়ারের আরবান হেলথের প্রধান জহিরুল আলম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

গত মার্চ থেকে কেয়ারের হ্যালো প্লাস প্রকল্পটি প্রায় ৫০ হাজার পোশাককর্মী এবং ১ লাখ মানুষের কাছে গেছে। এ সময় তাঁদের পরিস্কার–পরিছন্নতা সামগ্রী ও সচেতনতা কার্যক্রমের নানা সহায়তা দিয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে, কভিড-১৯ সচেতনতার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

এ সময় হ্যালো প্লাস প্রকল্পের মাধ্যমে গাজীপুর ও সাভারের ভাকুর্তার স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ৬১৫টি পিপিই, ৪৫০টি চোখের নিরাপত্তা বেষ্টনী, ২০ হাজার ৫০০টি ডিসপোজেবল ফেস মাস্ক, ৩৫ হাজার পিস ডিপোজেবল হ্যান্ড গ্লাভস, ২ হাজার ৯০০ বোতল স্যানিটাইজার, ৩ হাজার ৬০০ বোতল তরল সাবান, ২০ হাজান পিস লন্ড্রি সাবান, ৩ হাজার ১০০ বোতল হাতে ঘষার সামগ্রী এবং ২৭৫ পিস জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন বিতরণ করা হয়।

গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইনের (জিএসকে) আর্থিক সহায়তায় মার্কস ও স্পেন্সারের সহযোগীতায় কেয়ার বাংলাদেশের হ্যালো প্লাস প্রকল্প গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, সিভিল সার্জনের অফিসের সঙ্গে কাজ করছে।