করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তিন সহকারীসহ রিটার্নিং কর্মকর্তা বদল

নির্বাচন কমিশন

সিলেট-৩ আসনে (দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ) উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তিন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সংশোধিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্বাচনের চারজনের নিয়োগ পরিবর্তন করেন।

সিলেট নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সস্প্রতি এ চার কর্মকর্তা ছাড়াও আরও কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ কারণে সংশোধিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে নতুন করে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। তবে প্রজ্ঞাপনে তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামকে। এ ছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ এ তিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাখি আহমদ বলেন, শনিবার নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়োগের বিষয়টি জানতে পেরেছেন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।

এর আগে গত ২ জুন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. ইসরাইল হোসেনকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়ছল কাদেরকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, শুক্কুর মাহমুদকে বালাগঞ্জ উপজেলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সোহরাব আহমদকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। শূন্য আসনটিতে আগামী ২৮ জুলাই ইভিএম পদ্ধতিতে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৪৯টি।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার প্রার্থী। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া।