করোনায় ও উপসর্গে আরও ২০ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৮৩

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭ জনের ও উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৪৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। একই সময়ে ৪০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৩৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। ঈদের ছুটির কারণে তিন দিন ধরে বিভাগে কম নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে শনাক্তের সংখ্যাও কম।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বরিশাল বিভাগে জুলাইয়ের প্রথম থেকেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি চলছে। ঈদের ছুটি থাকায় তিন দিন ধরে নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে, এতে পরীক্ষাও কম হয়েছে। তবে শনাক্ত ও মৃত্যুহার দুটিই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সংক্রমণের হার ৪০-এর ওপরে। সে ক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এখনো অব্যাহত আছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, নতুন শনাক্ত ১৮৩ জনের মধ্যে বরিশালে সর্বোচ্চ ১০৯ জন নিয়ে মোট ১১ হাজার ৯৫৩ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন আটজন নিয়ে মোট ৩ হাজার ৪৪২ জন, ভোলায় নতুন ৪৯ জনসহ মোট ২ হাজার ৮২৬ জন, পিরোজপুরে নতুন ৯ জনসহ মোট ৩ হাজার ৮৫৫ জন, বরগুনায় নতুন চারজন নিয়ে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৩৮৭ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন চারজন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩২।

বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৪১৪ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭ জন করোনায় ও ১৩ জনের উপসর্গ ছিল। করোনায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এই তিন জেলায় দুজন করে এবং পটুয়াখালী জেলার একজন রয়েছেন। আর উপসর্গে মারা যাওয়া ১৩ জন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। নতুন ১৩ জনের মৃত্যু নিয়ে এই হাসপাতালে এ পর্যন্ত উপসর্গে মারা গেছেন ৭১০ জন।

মৃত্যুহার বরগুনায় বেশি

বিভাগে গত বছরের ৯ এপ্রিল করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। এতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মারা গেছেন ৪১৪ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই বিভাগে গড় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুহার বরগুনা জেলায়। এই জেলায় মারা গেছেন ৫৩ জন। আর মৃত্যুহার ২ দশমিক ২২ শতাংশ। এরপরেই আছে পটুয়াখালী। এই জেলায় মারা গেছেন ৭০ জন, মৃত্যুহার ২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এরপরে আছে পিরোজপুর জেলা। এই জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬১ জন আর মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ ছাড়া ঝালকাঠি জেলায় মারা গেছেন ৫২ জন, মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। বরিশাল জেলায় মারা গেছেন ১৪৮, মৃত্যুহার ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। ভোলায় মারা গেছেন ৩০ জন, মৃত্যুহার ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।