করোনায় কত কী করে যাচ্ছেন এই এসি ল্যান্ড

করোনাকালে নানা কিছু করছেন নগরকান্দার এসি ল্যান্ড আহসান মাহমুদ
করোনাকালে নানা কিছু করছেন নগরকান্দার এসি ল্যান্ড আহসান মাহমুদ

ফরিদপুরের নগরকান্দার সহাকারি কমিশনার (ভূমি) আহসান মাহমুদ শুনতে পান, তাঁর এলাকার হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী সোলাইমান ভালো নেই। সোলাইমানের খোঁজ নিতে তার বাড়িতে ছুটেযান আহসান মাহমুদ। সোলাইমান নগরকান্দার এম এন একাডেমীর ৮ম শ্রেনী শিক্ষার্থী। সে সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় নিজেই টিউশানি করে তার পড়ার খরচ চালিয়ে আসছে। সোলাইমানের শিক্ষা কার্যক্রমে যে কোনো সহযোগিতায় পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। এ সময় সোলাইমানের পরিবারের জন্য ঈদ উপহারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়।

৩৪তম বিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন আহসান মাহমুদ। তাঁর বাবা বিশ্বাস আব্দুস ছাত্তার ও মা লুৎফুন নাহার। গ্রামের বাড়ি মাগুরার শীপুরে।

করোনার সময় টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের বিশাল লাইন দেখেন আহসান মাহমুদ। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছিল না। পরে তাঁদের পাশে থেকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকারি সেবা সহজ করেন আহসান মাহমুদ। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে তিনি এ কাজ করেন। নিজের এই অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেন আহসান মাহমুদ।

করোনাকালে নিজেই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে জানান আহসান মাহমুদ। এসবের মধ্য রয়েছে উপজেলার বাজার কাছাকাছি কোনো বড় মাঠে স্থানান্তর। এক দোকান থেকে আরেক দোকানের মাঝখানে ২০ ফুট ও দুইটি কলামের মাঝখানে ৩০ ফুট দূরত্ব নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

ইউএনওর পরামর্শে মাছের বাজারটিকে বাজারের ফাঁকা গলিপথে সম্প্রসারণ করেছেন, যেন প্রতি দুই দোকানের মাঝে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব থাকে। যাতে ক্রেতারা নিজেদের মাঝে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন।

নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নগরকান্দা উপজেলাকে ভালো রাখার কাজ করে যাচ্ছেন আহসান মাহমুদ।

তিনি বলেন, 'অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বাজারকে যাতে অস্থিতিশীল করে তুলতে না পারে, এ জন্য কাজ করছি।'

আহসান মাহমুদ জানতে পারলেন, বিভিন্ন বাজারে চায়ের দোকান খোলা রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় দোকানিরা নতুন কৌশল বেছে নিয়েছেন। নিজ বাড়িতেই দোকান খুলেছেন। কেউ কেউ কেতলি ভরে চা নিয়ে ফেরি করেছন। গোপনে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, এসব দোকানির বাড়িতে চা খেতে গিয়ে ক্রেতারা আড্ডা জমাচ্ছেন।

আহসান মাহমুদ বলেন, প্রথমেই সব চায়ের দোকানির ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাঁদের বুঝিয়ে এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়। তাঁরা সে কথা শুনেছেন।