কলমাকান্দায় শিলাবৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলের এমন ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়। এ সময় উপজেলার পোগলা, বড়খাপন ও কৈলাটী ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পোগলা ইউনিয়নে। বোরো ফসল, আম ও লিচুর ক্ষতির পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে।

কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ বলেন, কলমাকান্দায় এবার ২১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ফসলের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে।

গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়। এ সময় উপজেলার পোগলা, বড়খাপন ও কৈলাটী ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

তবে কৃষকদের ভাষ্য, ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ আরও বেশি। অনেক কৃষকের আবাদকৃত পুরো জমিটিই শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের বড় পারুয়া গ্রামের খাইরুল ইসলাম ও ঘনিচা গ্রামের তারা মিয়া তালুকদার বলেন, রাতে ঝোড়ো বাতাসের মধ্যে হঠাৎ কিছুক্ষণের শিলাবৃষ্টিতে মাটি সাদা হয়ে গেছে। সকালে খেতে গিয়ে দেখেন, ধানগাছ শুয়ে পড়েছে। ফসলের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। পোগলা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি এক একর জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছেন। তাঁর পুরোটা ফসলই শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে।

খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ মানু মজুমদার আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে টিন ও অর্থ প্রদানের আশ্বাস দেন।