কসবা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আনিসুল হক, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাউছার
আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ৯ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার কসবা টি আলী কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে একক প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্মেলন সফল করতে উপজেলার রাস্তায় নির্মাণ করা হয় শতাধিক তোরণ। কসবা টি আলী কলেজ মাঠে নির্মাণ করা হয় বিশাল প্যান্ডেল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সম্মেলনে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে সম্মেলনে আসতে থাকেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এম ফরহাদ হোসেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, জনগণকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা ভেবেছিল পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, বন্দুকের জোরে সংবিধান পরিবর্তন করে দেশকে পাকিস্তান বানাবে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে এ দেশের জনগণ পিটিয়ে হাড় ভেঙে দেবে। শেখ হাসিনার জন্য কসবার প্রত্যেকটি মানুষ প্রাণ দিতে প্রস্তুত আছেন। তবু রাজাকারের হাতে রক্তে অর্জিত পতাকা তুলে দেবেন না তাঁরা।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে নির্বাচন পরিচালনা করেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ। এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করার বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। কাউন্সিলররা এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় তাঁরাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটিতে আহ্বায়ক ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. আজহারুল ইসলাম ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন ভূইয়া।