কাউখালীতে দুই সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৯

ইউপি নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুই সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নয়জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই প্রার্থীর পাঁচ সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে ইউপি সদস্য প্রার্থী শংকর দাস (তালা প্রতীক) ও তাঁর কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারে বের হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বেল্লাল খানের বাড়ির সামনে গেলে আরেক সদস্য প্রার্থী আশীষ মজুমদারের (মোরগ প্রতীক) কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালান। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শংকর দাস (৪০), তাঁর কর্মী মহিবুল্লাহ শেখ (২০), তানিয়া বেগম (৩০) ও ফাইজুল হক (২৪) এবং আশীষ কুমার মজুমদারের কর্মী আলী শেখ (৩৭), হেলাল খান (৩২), দিলু মোল্লা (২৫), কালাম মাঝি (২৮) ও মনির হাওলাদার (২৫) আহত হন। আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

এ ঘটনায় আশীষ কুমার মজুমদারের কর্মী প্রভাষ মজুমদার (৪২), দুলাল শেখ (৩০), তানভীর হাওলাদার (১৮), সোহেল শেখ (২৫) ও শংকর দাসের কর্মী আবদুল জলিল মোল্লাকে (৫২) আটক করেছে পুলিশ।

শংকর দাস বলেন, ‘সদস্য প্রার্থী আশীষ মজুমদার নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকে বিভিন্ন সময় আমার প্রচারে বাধা দিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। গত বুধবার রাতে স্থানীয় ফণীভূষণ দাসের বাড়িতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমার ওপর হামলা চালানো হয়। আজ সকালেও আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে আশীষ মজুমদার বলেন, ‘আমি কাউখালী উপজেলা সদরে ছিলাম। শংকর দাসের কর্মী তানিয়া বেগম আমার কর্মী মনির হাওলাদারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করলে সংঘর্ষ বাধে।’

আজ বিকেলে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।

২৮ নভেম্বর কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে।