কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে কাউন্সিলর বলেন, ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।

সোমবার স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ওই ব্যক্তি মারা যান। মৃত ব্যক্তির নাম সোহেল রানা (৩৭)। তিনি শাহজাদপুর শহরের পুকুরপাড় মহল্লার আসাব আলীর ছেলে। তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামের ছোট ভাই।

সোহেল রানার পরিবারের সদস্যরা বলেন, রোববার সন্ধ্যায় সোহেল বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের বাজারে গেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হাসান, তাঁর সঙ্গী হৃদয় খান ও রানা মিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। আহত সোহেল রানাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সোমবার দুপুরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহেল রানার মা রুমি বেগম (৬০) বলেন, ‘নাজমুল, হৃদয় আর রানা মিলে আমার ব্যাটাকে মাইর‍্যা ফালাইছে, আমার ব্যাটা কী এমন কইছিল, যার লাইগ্যা মাইর‍্যা ফালান লাগবে।’

পৌর কাউন্সিলর নাজমুল বলেন, অভিযোগটি বানোয়াট। হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সোহেল রানার মৃত্যু হয়েছে। একটি মহল তাঁর সুনাম নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে এমন প্রচার চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদ মাহমুদ সোমবার সন্ধ্যায় জানান, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।