কাজি অফিসে নেওয়ার কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ, চারজন গ্রেপ্তার

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে তুলে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া চারজন হলেন পঞ্চগড় সদরের নিমনগর এলাকার শহীদুল ইসলাম (২৭) ও শিকারপুর এলাকার নুর আলম (২৪) এবং বোদার সোনাপাড়া এলাকার জাহিদুল ইসলাম (২৫) ও আমিরুল ইসলাম (৩০)।

কাজি অফিসে যাওয়ার কথা বলে ওই গৃহবধূকে মাইক্রোবাসে তুলে প্রথমে মালাদাম বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। গভীর রাতে তাঁকে জেলা শহরের মৈত্রী ফিলিং স্টেশনের সামনে নিয়ে দুজন ধর্ষণ করেন।

থানা-পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর (২০) সঙ্গে সম্প্রতি জাহিদুলের মুঠোফোনে পরিচয় হয়। তাঁদের মাঝেমধ্যে ফোনে কথা হতো। গত সোমবার দুপুরে স্বামীর সঙ্গে ওই গৃহবধূর ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় তিনি জাহিদুলকে বিষয়টি জানান। জাহিদুল তাঁকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ময়দানদীঘি বাজারে যেতে বলেন। সন্ধ্যার পর তিনি সেখানে যান।

ময়দানদীঘি বিআরটিসির বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাঁকে আমিরুলের অটোরিকশায় তোলেন জাহিদুল। এরপর তাঁকে পঞ্চগড় রেলস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁদের সঙ্গ দেন নুর আলম। রাতে স্টেশন এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে তাঁরা খাবার খান। এ সময় শহীদুলকে ফোন করে মাইক্রোবাস নিয়ে আসতে বলেন জাহিদুল।

এরপর কাজি অফিসে যাওয়ার কথা বলে ওই গৃহবধূকে মাইক্রোবাসে তুলে প্রথমে মালাদাম বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। গভীর রাতে তাঁকে জেলা শহরের মৈত্রী ফিলিং স্টেশনের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাইক্রোবাসের ভেতর তাঁকে জাহিদুল ও শহীদুল ধর্ষণ করেন। এ সময় আমিরুল ও নুর আলম বাইরে পাহারা দেন।

একই সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে জাহিদুল মোটরসাইকেলে করে ওই গৃহবধূকে বোদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নামিয়ে দিয়ে যান। সেখান থেকে এক ব্যক্তি ওই গৃহবধূর স্বামীকে ফোন করেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্বামী সেখানে গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। এ ঘটনায় রাতেই ওই গৃহবধূ বোদা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ প্রথমে জাহিদুলকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্য তিনজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ধর্ষণের সময় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জেলা শহরের সিঅ্যান্ডবি মোড় এলাকা থেকে জব্দ করে পুলিশ।

জানতে চাইলে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া বলেন, গ্রেপ্তার চারজনকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।