কাদের মির্জাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ

আবদুল কাদের মির্জা
ফাইল ছবি

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে পৌরসভা কার্যালয়ে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবদুল কাদের মির্জা আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, নেতা-কর্মীদের পৌরসভা কার্যালয়ে আসতে দিচ্ছে না পুলিশ। আর পুলিশ বলছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাদের মির্জার কাছে তাঁর অনুসারীদের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনুসারী নেতা-কর্মীদের নিয়ে ‘স্বেচ্ছায় কারাবরণের প্রস্তুতি’ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কাদের মির্জা।

কাদের মির্জার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাদের মির্জা প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় নতুন নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠ গরম রাখার চেষ্টা করেন। করোনাযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়ার নামে সে রকমই একটি চেষ্টা আজ বিকেলে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।’ তিনি বলেন, বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয় ঘিরেই এখন বেশির ভাগ পুলিশের অবস্থান। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষজন ছাড়া কাদের মির্জার নেতা-কর্মী যাঁরা কারণে–অকারণে তাঁর আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন, তাঁদের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ রোববার বিকেল থেকে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

থানা-পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতির তদারকিতে জেলা পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সেখানে অবস্থান করে বিষয়গুলো দেখভাল করছেন।

কাদের মির্জা প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় নতুন নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠ গরম রাখার চেষ্টা করেন। করোনাযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়ার নামে সে রকমই একটি চেষ্টা আজ বিকেলে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
মীর জাহেদুল হক, ওসি, কোম্পানীগঞ্জ থানা

আর আবদুল কাদের মির্জা প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, করোনাকালে বিশেষ অবদান রাখায় তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সেলিমসহ পাঁচজনকে সম্মাননা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আজ বেলা তিনটায় পৌরসভা কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু থানা থেকে পুলিশ এসে অনুষ্ঠানটি করতে দেয়নি। বিকেলে পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে তাঁর অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তখন তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এরপর পুলিশ চারদিক থেকে পৌরসভা কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। তাঁর নেতা–কর্মীদের পৌরসভায় আসতে দেওয়া হচ্ছে না।