কাদের মির্জাকে পাগলাগারদে পাঠানোর দাবি উপজেলা আ.লীগের

আবদুল কাদের মির্জা
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার করে পাগলাগারদে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বড় ভাই ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নির্বাচনী এলাকায় আসতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় দলের পক্ষ থেকে এমন দাবি এল। শনিবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ওবায়দুল কাদেরের বোনের বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, শুক্রবার রাতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির সামনের রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি কাদের মির্জার একটি সাজানো নাটক। আগের দিন ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ওই নাটক কাদের মির্জা সাজিয়েছেন বলে তাঁদের অভিযোগ।  

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কাদের মির্জার ভাগনে মাহবুবুর রশিদ ওরফে মঞ্জু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে বাদল। সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে বাধা দেওয়ার কারণে লিখিত বক্তব্যটি পাঠ করতে পারেননি আওয়ামী লীগের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান বলেন, ‘অপরাজনীতির হোতা কাদের মির্জা গত তিন মাসে কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে কাদের মির্জা আমাদের নেতা ও স্থানীয় সাংসদ ওবায়দুল কাদেরকে কোম্পানীগঞ্জে আসতে না দেওয়ার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমরা অবিলম্বে কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার করে পাগলাগারদে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের এই এলাকার সংসদ সদস্য। তিনি এই এলাকায় তো আসবেনই। বরং আমরা আবদুল কাদের মির্জাকে প্রতিহত করব।’

গত বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বসুরহাটে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে পুলিশ ধাওয়া করে। পরে কাদের মির্জার ছেলে তাসিক মির্জার নেতৃত্বে মিছিলে হামলা হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন তাসিক মির্জাসহ কমপক্ষে ১৫ জন। পরে রাতে কাদের মির্জার অনুসারীরা বসুরহাট বাসস্ট্যান্ডে তিনটি বাস ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনার পরের দিন শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে ওবায়দুল কাদেরকে কোম্পানীগঞ্জে আসতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ ঘটনার প্রায় সোয়া ছয় ঘণ্টার মাথায় শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির সামনে ছোট ভাই শাহদাত হোসেনকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে।