কাদের মির্জার সঙ্গে রাজনীতি না করার শপথ কোম্পানীগঞ্জ আ.লীগ নেতাদের

আবদুল কাদের মির্জা
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে আর কাদের মির্জার সঙ্গে রাজনীতি না করারও শপথও করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের বাড়িতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রের নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রয়েছে। তবে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলের প্রার্থীদের প্যানেল তৈরি করতে জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই সভা ডাকা হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির ৫৭ জন সদস্যের মধ্যে ৪২ জন উপস্থিত ছিলেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটের রূপালী চত্বরের দলীয় কার্যালয়ে ওই সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সভার এক দিন আগে গতকাল সোমবার দুপুরে সেতুমন্ত্রীর ভাই আবদুল কাদের মির্জার উপস্থিতিতে তাঁর লোকজন কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিলসহ সব আসবাব সরিয়ে নিয়ে ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে সভাটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াতের বাড়িতে করার সিদ্ধান্ত নেন দলীয় নেতারা।

মঙ্গলবার সকালে খিজির হায়াতের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বক্তব্য দেন।

বক্তৃতায় প্রায় সবাই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে-পরে জাতীয় নির্বাচন, দুর্নীতি, অনিয়মসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যকে ‘সত্যবচনের নামে মিথ্যার ফুলঝুরি’ এবং দলের গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন। তাই বক্তারা অবিলম্বে কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্র ও জেলা নেতাদের কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

সভায় সমাপনী বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান বলেন, তিনি প্রায় ৫০ বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। কখনো নিজের স্বার্থের কথা ভাবেননি। তাই আজ তিনি শপথ করছেন, যত দিন বাঁচবেন, তত দিন আর কখনো কাদের মির্জার সঙ্গে রাজনীতি করবেন না। তাঁর এই ঘোষণার পর উপস্থিত সব সদস্য একযোগে শপথ করেন, তাঁরাও আর কখনো কাদের মির্জার সঙ্গে রাজনীতি করবেন না।