কাদের মির্জার হস্তক্ষেপ বন্ধে ওবায়দুল কাদেরের পদক্ষেপ চান পরিবহননেতারা

পরিবহন মালিক–শ্রমিকদের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বসুরহাট বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে
প্রথম আলো

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলেছেন, পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা ও তাঁর প্রতিপক্ষের নেতাদের মধ্যকার বিরোধের বলি হচ্ছেন। এ কারণে তাঁরা বাসস্ট্যান্ড ও মালিক সমিতির ওপর কাদের মির্জা ও তাঁর ভাই শাহাদাত হোসেনের হস্তক্ষেপ বন্ধ চান। এ জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতি ও ইউনিয়নের নেতারা এ দাবি জানান। একই সঙ্গে চার দফা দাবি উত্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৃহত্তর নোয়াখালী বাস মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন বসুরহাট বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বসুরহাট শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

আকরাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি ‘স্বৈরশাসক বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার’ সঙ্গে তাঁর দলীয় প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে বিরোধ চলছে, তার বলি হচ্ছেন।

আকরাম উদ্দিন বলেন, কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ওয়াশিম, হাতকাটা ফারুক, মামুন, রাকিব, জুয়েল, সাইফুলসহ অপরিচিত কিছু সন্ত্রাসী গত ১৫ এপ্রিল ড্রিম লাইন পরিবহনের তিনটি বাস ভাঙচুর করেন। ৬ মে বাসস্ট্যান্ডে মালিক সমিতির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় জুয়েল নামের একজনকে। সর্বশেষ ৭ মে শাহাদাতের নেতৃত্বে একই সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে দুটি এসি বাসসহ চারটি বাস ভাঙচুর করেন।

লিখিত বক্তব্যে পরিবহন ব্যবসায়ী আকরাম উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, কাদের মির্জার ভাই শাহাদাত হোসেনের কোনো গাড়ি নেই। কিন্তু তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মালিক সমিতির নেতা হতে চান। এ কাজে পেছন থেকে ইন্ধন দিচ্ছেন আবদুল কাদের মির্জা।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে তোলা চার দফা দাবিগুলো হলো হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা, বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া বাসস্ট্যান্ডকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করা এবং বাসস্ট্যান্ড ও মালিক সমিতিতে কাদের মির্জা ও তাঁর ভাই শাহাদাত হোসেনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।