কানে হেডফোন, ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

পাবনার বেড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নীরব হোসেন (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় তার কানে হেডফোন ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নীরব রাজধানীর উত্তরার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাড়ি বেড়া উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের ভাটিকয়া গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সকালে উপজেলার মাশুমদিয়া ঝুলন্ত রেলসেতুর কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার আগে রাজশাহীগামী ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি বারবার হুইসেল দেওয়া সত্ত্বেও নীরব রেললাইন থেকে সরে যায়নি। পুরান মাশুমদিয়া গ্রামে নীরবের মামার বাড়ি।

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ঘটনাস্থলে রেলওয়ে পুলিশ পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেছে। এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই ট্রেনে কাটা পড়ার ঘটনা ঘটছে। ট্রেন চলাচলের সময় এলাকাবাসীর সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত বেড়া উপজেলায় অন্তত পাঁচজনের ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবারের ঘটনার আগে ১৬ জুন ঢালারচর স্টেশনের কাছে রোজি বেগম (৬০), ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর দাঁতিয়া গ্রামে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারী (৩৫), ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পুরান মাশুমদিয়া রেলক্রসিংয়ের কাছে আবদুল লতিফ মোল্লা (৩২) ও একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর নান্দিয়ারা রেলগেট এলাকায় গোলেজান বেগম (৮০) নামের এক বৃদ্ধা ঢালারচর এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে নিহত হন।