কাপাসিয়ায় চতুর্থ বারের মতো একই স্থানে সড়কে ধস, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কাপাসিয়া-শ্রীপুর সড়কে ধসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ১১ ডিসেম্বর সকাল
প্রথম আলো

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্মিত গাজীপুরের কাপাসিয়া-শ্রীপুর সড়কের নারায়ণপুর বাজার ও শীতলক্ষ্যা নদীসংলগ্ন প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক আজ শুক্রবার ভোরে ধসে গেছে। এ নিয়ে এই সড়কের একই স্থানে চারবার ধসের ঘটনা ঘটল। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাপাসিয়া-শ্রীপুর সড়কের ওই স্থানে এ পর্যন্ত চারবার ধসের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমবার ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, দ্বিতীয়বার ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তৃতীয়বার ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং সর্বশেষ শুক্রবার ভোর রাতে একই এলাকায় ভূমি ধসের ঘটনা ঘটে। এ ধসের ঘটনায় রাস্তার আশপাশের সন্তোষ মাস্টার, রতন চন্দ্র, ননী গোপাল, সাধন চন্দ্র দাস মাস্টার, সুশীল চন্দ্র, নিতাই চন্দ্রসহ ১০ পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ২০১৮ সালে গাজীপুর সওজের কর্মকর্তারা রাস্তাটিতে পর্যবেক্ষণকাজ চলছে মর্মে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। পরে সওজের কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন। স্থানীয় কিছু লোক শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এ ধসের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমানত হোসেন খান, কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মো. আমানত হোসেন খান বলেন, শীতকালে পাশের শীতলক্ষ্যা নদীর পানি নেমে গেলে সাধারণত এ ঘটনা ঘটে থাকে। তবে কোনোবারই ভরা নদীতে এ ঘটনা ঘটেনি।
গাজীপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরে ওই রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ হলে ছয় মাস আমরা পর্যবেক্ষণে রাখি। পড়ে সব ঠিকঠাকমতোই ছিল। যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। তবে বারবার একই এলাকায় কেন এ ধসের ঘটনাটি ঘটছে, বুঝতে পারছি না। প্রায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের ৮ ফুটের মতো গভীর হয়ে ওই রাস্তাটি ধসে গেছে।’