লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স–কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ একই পরিবারের চারজনসহ নিহত ৬

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার আঁটিপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারের চার সদস্য রয়েছেন।

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়ায় দুর্টঘনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাস। বুধবার বিকেলে।
প্রথম আলো

নিহত ব্যক্তিরা হলেন অ্যাম্বুলেন্সচালক কুমিল্লা সদর উপজেলার আলমগীর হোসেন (৪০), ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামের আরিফ হোসেন (৩২), ছোট ভাই তারেক হোসেন (২৮), বোন শিউলি বেগম (৩০) ও মা কহিনুর বেগম (৫০) এবং আরিফের স্ত্রীর বড় ভাই (৪৫)।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার উপরিদর্শক (এসআই) অশোক কুমার বলেন, দুপুরে ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতাল থেকে একটি শিশুর লাশ নিয়ে ঝালকাঠির সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামে উদ্দেশে আসছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার আঁটিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সচালকসহ পাঁচ যাত্রী নিহত ও এক যাত্রী আহত হন। একই সময় ঢাকাগামী দূরপাল্লার বাস দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ড ভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের ২০ যাত্রী আহত ও বাসের সামনের বড় কাচ ভেঙে যায়। ঘটনার পর গৌরনদী হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

অ্যাম্বুলেন্সচালক আলমগীর হোসেন কুমিল্লা সদর উপজেলার মৃত ইদ্রিস আলী মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে নিয়ে ঢাকা উত্তরায় ভাড়া বাসায় থাকেন। আলমগীর হোসেনের বোন পাখি আক্তার জানান, তাঁর ভাই বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতাল থেকে একটি শিশুর লাশ নিয়ে ঝালকাঠির বাউকাঠি গ্রামের যাচ্ছিল। ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ বেলা দুইটায় কথা হয়।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অশোক কুমার বলেন, হাইওয়ে থানার পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে থাকা শিশুর লাশসহ ছয়টি লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিউলি বেগমকে স্থানীয়রা বরিশালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বাস ও কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে।