কারচুপির অভিযোগে নৌকার প্রার্থীর ভোট বর্জন

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল রানা
ছবি: সংগৃহীত

ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউপির আওয়ামী লীগ–মনোনীত প্রার্থী সোহেল রানা।

আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের মহেশমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনে বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মহেশমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহেল রানা এবং দুই বিদ্রোহী প্রার্থী মোখলেসুর রহমান চৌধুরী ও আবদুস সালামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের কথা জানতে পেরে সোহেল রানা সেখানে ছুটে আসেন। ওই দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের সমর্থকেরা তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের পর সোহেল রানা বলেন, ‘দুওসুও ইউনিয়নে সুষ্ঠু কোনো ভোট হয়নি। এখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে হারানোর জন্য দলের ভেতরে চক্রান্ত হয়েছে। আমি নির্বাচন বর্জন করছি। এই নির্বাচন আমি মানি না।’

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শুনেছি দুওসুও ইউনিয়নে গন্ডগোল হয়েছে। আওয়ামী লীগের “বিদ্রোহী” প্রার্থীর লোকজন ভোটে কারচুপি করছিল। তবে এর প্রতিবাদে তিনি ভোট বর্জন করেছেন কি না, আমার জানা নেই।’

আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মোখলেসুর রহমান চৌধুরী বলেন, নৌকার প্রার্থীর ভোট বর্জন ও বিভিন্ন অভিযোগ হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটকে বিতর্কিত করার জন্যই এই সাজানো অভিযোগ। নিজের ভরাডুবি নিশ্চিত জেনেই তিনি শেষ সময়ে ভোট বর্জন করেছেন।

দুওসুও ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে। বিন্দুমাত্র কারচুপির ঘটনা ঘটেনি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. যোবায়ের হোসেন বলেন, দু–একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশে বিপুল ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান সোহেল রানা। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে মেনে নিতে পারেননি বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা মোখলেসুর রহমান চৌধুরী। তাঁরা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হন। ২৩ নভেম্বর মোখলেসুর রহমান চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।