কালকিনিতে আ.লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার

মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী (চামচ প্রতীক) সোহেল রানা ওরফে মিঠু
সংগৃহীত

মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সোহেল রানা ওরফে মিঠুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি তাঁকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে সোহেল রানার দাবি, তিনি দলের কাছে আরও আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম হানিফের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (চামচ প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যা গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। এ জন্য তাঁকে দলীয় সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে প্রথম আলোকে বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের সবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় থাকার কথা। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে দলীয় যে নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন বা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরাও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন। তাঁদেরও চিহ্নিত করে একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সোহেল রানা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো, অথচ আমাকে আগে-পরে কিছুই জানানো হলো না। এমনকি কী কারণে বহিষ্কার করল, তা–ও জানায়নি। শোকজের কোনো চিঠি দেয়নি। অবশ্য আমি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কাছে আগেই পদত্যাগপত্র দিয়ে আসি। দল থেকে স্বেচ্ছায় একজন পদত্যাগ করলে তাঁকে বহিষ্কার করা হয় কীভাবে? আসলে নির্বাচন ঘিরে লোক দেখাতে বহিষ্কারের প্রচার করা হচ্ছে।’

আমি জনগণের কথায় নির্বাচনে এসেছি। জনগণের কথায় নির্বাচন করব। আমার সঙ্গে পৌরসভার জনগণ আছে। আওয়ামী লীগ থেকে যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাঁকে জনগণ আগেই প্রতিহত করেছে। তাই তাঁকে নিয়ে আর কিছুই বলার নেই।
সোহেল রানা, আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী

সোহেল রানা বলেন, ‘আমি জনগণের কথায় নির্বাচনে এসেছি। জনগণের কথায় নির্বাচন করব। আমার সঙ্গে পৌরসভার জনগণ আছে। আওয়ামী লীগ থেকে যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাঁকে জনগণ আগেই প্রতিহত করেছে। তাই তাঁকে নিয়ে আর কিছুই বলার নেই।’

চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে পুরোদমে চলছে প্রচার-প্রচারণা।