কালিয়ায় নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন

আগুনে নির্বাচনী কার্যালয় ঘিরে রাখার কাপড় ও নৌকার প্রতিকৃতি পুড়ে যায়। শনিবার রাতে কালিয়া পৌরসভার বড় কালিয়ার ঘোষপাড়ায়সংগৃহীত

নড়াইলের কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার রাত ১টার দিকে শহরের বড় কালিয়ার ঘোষপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই কার্যালয় ঘিরে রাখার কাপড় ও নৌকার প্রতিকৃতি পুড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমাসদৃশ বস্তু ও দুটি ছ্যানদা উদ্ধার করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের পর রাতেই নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমাসদৃশ বস্তু ও দুটি ছ্যানদা স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে পুলিশকে দিয়েছেন। আগুনে কার্যালয়ের কিছুটা পুড়েছে। এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ পক্ষ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩০ জানুয়ারি কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান (হীরা)। দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান। তিনি কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী হলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি এস এম ওয়াহিদুজ্জামান (মিলু)।

কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ বলেন, ‘ওই কার্যালয়ে আমি বসতাম। নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমাকে নানাভাবে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। আমাকে ভয় দেখাতে “বিদ্রোহী” প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা এটি করেছেন। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।’

একইভাবে ওই ঘটনার জন্য ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীকে দোষারোপ করেছেন নৌকার প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ওই কার্যালয়ের মধ্যে ৩-৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ওই এলাকায় নৌকার সমর্থন বেশি। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমান ও তাঁর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মুশফিকুর রহমান আজ রোববার সকালে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি শনিবার সন্ধ্যায় খুলনায় এসেছি। এখনো খুলনায় আছি। এ ঘটনা (অগ্নিকাণ্ড) সাজানো নাটক। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে তাঁরা মামলা করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।’