কালীগঞ্জে চেতনানাশক প্রয়োগ করে রাতে চোরে নিয়ে গেল সব

প্রতীকী ছবি

বাড়ির পাশে রাতে আয়োজন করা হয়েছিল মাহফিল। সেখান থেকে এসে গতকাল রাত ১২টার দিকে ভাত খেয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বাড়ির কর্তা সালাহউদ্দিন মোড়ল। আজ শুক্রবার অনেক সকালেও তাঁদের ঘুম ভাঙছিল না। ছোট মেয়ে তাকিয়ার প্রথম ঘুম ভাঙে। সে বাবা, মা ও বোনকে ডেকে সাড়া না পাওয়ায় চাচা সুবেদ আলী মোড়লকে ডেকে আনে। সুবেদ আলী ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখেন, বাড়ির গ্রিলের দরজার তালা ও গ্রিল কাটা। ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র ছড়ানো-ছিটানো। অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছেন ভাই, ভাবি ও তাঁদের এক মেয়ে।

বুঝতে বাকি থাকে না, রাতে চেতনানাশক প্রয়োগ করে অজ্ঞান পার্টির সদস্য চোরেরা বাড়িতে চুরি করেছে। পরে হিসাব করে দেখা যায়, চোরেরা ৭৩ হাজার টাকা, চার ভরি সোনার গয়নাসহ চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাড়ির চারজনকেই কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, দুই মেয়ে হানিফা ও তাকিয়া শঙ্কামুক্ত। তবে ৪৮ ঘণ্টা পার না হলে স্বামী–স্ত্রী সালাহউদ্দিন ও খাদিজার অবস্থার কথা বলা যাচ্ছে না।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের সালাহউদ্দিন মোড়ল (৫২), তাঁর স্ত্রী খাদিজা খাতুন (৪০), তাঁদের বড় মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী হানিফা খাতুন (১৪) এবং আরেক মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তাকিয়া সুলতানা (১২)।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাহাজ্জুত হোসেন জানান, হানিফা ও তাকিয়া শঙ্কামুক্ত। তবে ৪৮ ঘণ্টা পার না হলে সালাহউদ্দিন ও খাদিজার অবস্থার কথা বলা যাচ্ছে না। কী ধরনের চেতনানাশক ব্যবহার করা হয়েছে, তা পরীক্ষা করার পর জানা যাবে বলে জানান তিনি।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেন বলেন, বাড়ির সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি বলে তিনি খবর পেয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে শুক্রবার বেলা দুইটা পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।