কাহালুতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি

বগুড়ার কাহালুতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের পদপ্রত্যাশী দুজন নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ এবং চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও শটগানের ১৫টি গুলি ছুড়েছে। এ সময় পাথরের টুকরার আঘাতে পুলিশ, ছাত্রলীগের নেতাসহ ছয়–সাতজন অহত হয়েছেন।

আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কাহালু উপজেলা সদরের পৌর মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সম্মেলনের প্রধান অতিথি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমানসহ অন্য অতিথিরা পুলিশি পাহারায় সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কাহালু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ছিল আজ। বিকেলে কাহালু পৌর মঞ্চে সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমানসহ অন্য নেতারা। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। এতে সভাপতি পদে একক প্রার্থী ছিলেন সাইফুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন রাকিবুল ইসলাম, রাজু আহম্মেদসহ কয়েকজন।

কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী রাকিবুল ইসলাম ও রাজু আহম্মেদের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ–ছয়জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
জুলফিকার রহমান, সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ

কমিটি ঘোষণার আগেই সাধারণ সম্পাদক পদে দুই পদপ্রত্যাশীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সভাস্থলে কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ রেললাইনের পাথর নিক্ষেপ শুরু করলে কাহালু থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা, সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা রাজীবসহ ছয়–সাতজন আহত হন। পুলিশি পাহারায় অতিথিরা সভাস্থল ত্যাগ করার পর দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ প্রথমে লাঠিপেটা এবং পরে শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী রাকিবুল ইসলাম ও রাজু আহম্মেদের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ–ছয়জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলামকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের ১৫টি গুলি ছোড়া হয়েছে। পাথরের টুকরার আঘাতে থানার এএসআই মাসুদ রানা আহত হয়েছেন।