কিশোরগঞ্জে ৭৮ পাউন্ড কেক কেটে রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উদ্‌যাপন

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জন্মদিন উদ্‌যাপন উপলক্ষে কেক কাটেন অতিথিরা। আজ শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে নরসুন্দা নদীপাড়ের মুক্তমঞ্চে।
ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জে ৭৮ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ৭৮তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে নরসুন্দা নদীর পাড়ের মুক্তমঞ্চে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে এ কেক কাটা হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি মিঠামইনের কামালপুর গ্রামে হাজী তায়েব উদ্দিন ও তমিজা খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। হাওর এলাকা থেকে মোট সাতবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার ছাড়াও পরপর দুবার রাষ্ট্রপতি হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উদ্‌যাপন পরিষদের আয়োজনে কেক কাটার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে চিত্রনায়ক সায়মন সাদিক, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল আহসান, রাষ্ট্রপতির মেজ ছেলে রাসেল আহমেদ, আইনজীবী শাহ আজিজুল হক, বিজয় শংকর রায়, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের আদলে কেকটি তৈরি করা হয়। এর মাঝখানে রয়েছে পানিতে ভাসমান একটি শাপলা ফুল। শাপলা ফুলটিকে বেষ্টন করে আছে ধানের দুটি শীষ। চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে মোট চারটি তারকা। ৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফুট প্রস্থের বোর্ডে কেকটি বসানো হয়। মূল কেকটির আকার ছিল দৈর্ঘ্যে ৫ ফুট ও প্রস্থে ৫ ফুট। শাপলাটি তৈরি করতে ৬০ পাউন্ড পরিমাণ কেকের উপকরণ লেগেছে। এ ছাড়া এর সঙ্গেই রাষ্ট্রপতির নাম–সংবলিত লেখার আরেকটি ২ ফুট দৈর্ঘ্যের কেক জোড়া লাগানো ছিল। কেকটি ৭ ইঞ্চি পুরু ছিল।

রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উপলক্ষে ১০ কারিগরের দুই দিনের চেষ্টায় তৈরি কেক
ছবি: প্রথম আলো

কেকটি এবি ফুডসের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি মোড় এলাকায় মেসার্স রাজীব ডিপার্টমেন্টাল স্টোর তৈরি করে। স্টোরের মালিক শফিউল বাশার জানান, কেকের তত্ত্বাবধায়ক কুতুবউদ্দিনের সহযোগিতায় ১০ কারিগর ২ দিনে কেকটা তৈরি করেন।