কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ার ইউএনওকে একই দিনে বদলি

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আকতারুন নেছা ও পাকুন্দিয়ার ইউএনও মো. নাহিদ হাসানকে একই দিনে বদলি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনুবিভাগের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখা থেকে এই আদেশ জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনটি জারি হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলিয়া মেহেরের স্বাক্ষরে। মো. নাহিদ হাসান ও মোছা. আকতারুন নেছা স্বামী-স্ত্রী।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে, নাহিদ হাসানের বর্তমান কর্মস্থল হবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে। পদ হবে সিনিয়র সহকারী সচিব। আর আকতারুন নেছাকে বদলি করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান (সিনিয়র সহকারী সচিব) পদে।

সূত্র জানায়, নাহিদ হাসান পাকুন্দিয়ায় ইউএনও হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালের ৯ জুলাই। চার মাস পর, অর্থাৎ একই বছরের ১৩ নভেম্বর কটিয়াদীতে ইউএনও হিসেবে আসেন আকতারুন নেছা।

কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসন। একই দিনে একই সংসদীয় আসনের দুটি উপজেলার ইউএনওকে বদলি করা নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে নানা আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে স্থানীয় সাংসদ নূর মোহাম্মদ ও স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নানের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে এই বদলি হতে পারে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেছেন। সাংসদ ও স্বাস্থ্যসচিবের বাড়ি কটিয়াদীর চানপুর ইউনিয়নে।

৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যসচিব গ্রামের বাড়িতে হামলার শিকার হন। স্বাস্থ্যসচিবের পরিবারের সদস্যদের দাবি, হামলা হয়েছে সাংসদ নূর মোহাম্মদের নির্দেশে। হামলায় কটিয়াদী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়। গ্রেপ্তার হন চারজন। কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. এ জলিলকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর থেকে দুই উপজেলায় সাংসদের অনুগত ব্যক্তিরা স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে ছয়বার প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেন।

একসঙ্গে একই সংসদীয় আসনের দুটি উপজেলার ইএনওকে বদলি করার বিশেষ কোনো কারণ আছে কি না, জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘এমনটা না। অন্য সব বদলির মতোই স্বাভাবিক বদলি এটি।’