কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার পরামর্শ দেওয়ায় এসআই বরখাস্ত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার পরামর্শ দেওয়ায় পুলিশের এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এই বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।

বরখাস্ত হওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি নান্দাইল মডেল থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার একটি গ্রামের নবম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী ১০ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের শিকার হয়। এলাকার কিছু মাতব্বর সালিস করে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা চালান। কিন্তু কিশোরীর বাবা কথিত সালিস না মেনে মঙ্গলবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিশোরী তার বাবাকে রাতের খাবার খেতে ডেকে আনার জন্য প্রতিবেশী চাচার বাড়ির দিকে যেতে থাকে। পথে বখাটে মনির (১৯) কিশোরীর পথ আগলে পাশের এক পুকুর পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরী সেখান থেকে বাড়ি ফিরে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের কাছে জানায়। বুধবার এসআই মো. মনিরুল ইসলাম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নুর আহমদ ধর্ষণের অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য কিশোরীর বাড়িতে যান। সেখানে এসআই মো. মনিরুল কিশোরীর অভিভাবকদের ঘটনাটি মীমাংসা করার পরামর্শ দিয়ে সময় বেঁধে দেন।

এ বিষয়ে এএসআই নুর আহমদ বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে সেকেন্ড স্যার (এসআই মনিরুল ইসলাম) ঘটনাটি মীমাংসা করার পরামর্শ দিয়ে বুধবার রাতটুকু সময় দিয়েছিলেন।’

নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাসেম বলেন, ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা করার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগে এসআই মনিরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।