কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ব্যবসায়ী রিমান্ডে

আদালত
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর শিবপুরে এক কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার আসামি এক ব্যবসায়ীকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। বিকেলে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১৯ জুন রাতে শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। এই ঘটনায় শিবপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে পুলিশ। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই কিশোরীর কথোপকথনের অডিও জেলা পুলিশের হাতে আসে।

এ ঘটনায় ২১ জুন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়াকে আটক করে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ। পরে তাঁর দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২২ জুন ওই কিশোরীর নানি শিবপুর থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কিশোরীর বেশ কিছু ছবি ও তার এক বন্ধুর সঙ্গে কথোকপথনের অডিও ভাইরাল হয়। সেই সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়ার দোকানে চাকরি করত। সেই সূত্রে কিশোরীর নানিকে সঙ্গে নিয়ে ওই দোকানে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ জব্দ করে পুলিশ। এ সময় বেশ কিছু প্রয়োজনীয় সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েও পাওয়া যায়নি।

পুলিশের জব্দ করা সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ফরিদ মিয়া কিশোরীকে চড়-থাপ্পড়সহ নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতন করেছেন। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েই ফরিদ মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন)  ইনামুল হক সাগর বলেন, ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আজ দুপুরে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।