কিশোরীকে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার এক কিশোরীকে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুদিন পর অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে তার এক আত্মীয়ের বাড়ির সামনে রেখে যান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার মেয়েটির মা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

ওই কিশোরীর পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়ির কাছে পৌঁছালে জাহাঙ্গীর মণ্ডল (৪২), ইসহাক প্রামাণিক (৪৫) ও রেদোয়ান প্রামাণিক (২০) মেয়েটিকে মোটরসাইকেল তুলে নিয়ে যান। বিষয়টি প্রাইভেট শিক্ষকসহ স্থানীয় অনেকেই দেখেন। এরপর থেকে মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। দুদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের বাড়ির কাছে স্কুলছাত্রীকে অপহরণকারী জাহাঙ্গীর মণ্ডল রেখে যান। পরে পরিবারের কাছে স্কুলছাত্রী জানায়, মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে রাজবাড়ী সদর থানার অজ্ঞাত স্থানের একটি বাড়িতে তাঁকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকার গাবতলী এলাকার অজ্ঞাত এক বাড়িতে নিয়েও তাকে ধর্ষণ করেন জাহাঙ্গীর মণ্ডল।

ওই কিশোরীর মা বলেন, ‘কয়েক বছর আগে আমার স্বামী মারা যায়। অনেক কষ্টে এতিম মেয়েটিকে পড়াশোনা করাচ্ছি। জাহাঙ্গীর মণ্ডল এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক। আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া-আসার সময় সে প্রায় কুপ্রস্তাব দিত ও উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি জানার পর জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে বারণ করা হলে সে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, বিষয়টি জানার পর গতকাল রাতেই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।