কীটনাশক পানে কিশোরের মৃত্যু, বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

রাজবাড়ীতে কীটনাশক পান করে অসুস্থ এক কিশোর মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পরিবারের অভিযোগ, সফট ড্রিংকসের কথা বলে বন্ধুর দেওয়া কীটনাশক পানে তার মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া ওই কিশোরের নাম শিপন মিজি (১৬)। সে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের হাশেম মিজির ছেলে। এ ঘটনায় শিপনের চাচা আবদুল কাদের মিজি বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে রাতুল মণ্ডল (২০) নামে এক তরুণকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

শিপনের চাচা আবদুল কাদেরের ভাষ্য, ৮ নভেম্বর প্রতিবেশী রাতুল মণ্ডল মোটরসাইকেলে বেড়ানোর কথা বলে শিপনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। ১০ নভেম্বর বাড়ি ফেরার সময় তাঁরা বাজারে যান। এ সময় শিপনকে মোটরসাইকেলের ওপর রেখে রাতুল বাইরে যান। মিনিট দশেক পরে ফিরে এসে তাঁরা মোটরসাইকেলে বাড়ির দিকে রওনা দেন। পথে বেজকোলা মাশালিয়া নামক স্থানে থেমে রাতুল সফট ড্রিংকসের কথা বলে শিপনকে কীটনাশক পান করতে দেন। সেটি পান করে শিপন বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে দ্রুত শিপনকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে রাতুল চলে যান। শিপনের অবস্থা আরও খারাপ হলে তাঁকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে শিপনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে শিপন মারা যায়।

শিপনের ফুপু কাজলী বেগম দাবি করেন, ‘সদর হাসপাতালে চিকিৎসার পর শিপন অনেকটা সুস্থ হয়েছিল। সুস্থ হওয়ার পর শিপনের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিপন জানিয়েছে, কৌশলে তাকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। আমরা গরিব মানুষ। এ ঘটনার বিচার চাই।’

শিপনের মৃত্যুর পর রাতুলদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সব ঘর তালাবদ্ধ দেখা গেছে। রাতুলের বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। মুঠোফোন বিক্রি করায় শিপনের মা-বাবা তাকে বকাঝকা করেন। এতে অভিমান করে শিপন বিষ খেয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।