কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আ.লীগ নেতা নিহত

লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আজ সোমবার দুপুরে আবদুল হালিম (৩৫) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বড়ঘোপ ইউনিয়নের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ দুপুর ১২টার দিকে ভোট চলাকালে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুল হালিম ইউনিয়নের গোলদারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনার পর পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাশের কুতুবদিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। গুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আহত ১৮ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. শরীফ।

এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, পুলিশের গুলিতে আবদুল হালিমের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ভাষ্য, শান্তিপূর্ণভাবে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছিল। কোনো প্রার্থীর মধ্যে বিরোধ কিংবা সংঘর্ষ ঘটেনি। এ রকম পরিস্থিতিতে পুলিশ গুলি চালালে হতাহত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

তবে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার বলেন, ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টাকালে আবদুল হালিম নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি কার গুলিতে মারা গেছেন, তা তিনি জানেন না। হালিমের লাশ কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালামের কয়েকজন সমর্থক ভোটকেন্দ্রে উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালান। তখন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেন। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ কয়েকটি গুলি চালায়। গুরুতর আহত আবদুল হালিমকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।