কুমারখালীতে হামলায় আওয়ামী লীগের কর্মী গুলিবিদ্ধ

গুলিবিদ্ধ
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় সোহেল রানা ওরফে লেনিন (৩৮) নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা বাজারে সায়েক আলী ওরফে করিমের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সোহেল রানা চাপাইগাছি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল কুদ্দুসের ছেলে এবং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক আহমেদ খানের আত্মীয়। আহত অবস্থায় তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাতে হোগলা বাজারের সায়েক আলীর দোকানে সোহেলসহ কয়েকজন বসে ছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে অজ্ঞাত চারজন দোকানের সামনে থামে। পরে তারা সেখানে পানি চায়। সোহেল তাদের পরিচয় জানতে চাইলে একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপ মারে। বাঁ হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে যায়। এরপর সোহেলকে একজন পেছন থেকে চেপে ধরলে আরেকজন গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলি সোহেলের দুই হাঁটুর নিচে লাগে। স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

আহত সোহেল রানার ভাষ্য, ‘দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেলে চার থেকে পাঁচজন দোকানের সামনে আসে। এসে কিছু বোঝার আগেই আমার হাতে কোপ মারে। এ সময় ওদের ধাক্কা দিয়ে পালাতে গেলে গুলি করে। ছয়টা গুলি করে। আমার দুই পায়ে তিনটি গুলি লেগেছে।’

জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক আহমেদ খান বলেন, ‘প্রতিপক্ষরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসেছিল। আমাকে না পেয়ে আমার নিকটতম আত্মীয় ও আওয়ামী লীগ কর্মী সোহেলকে প্রথমে কোপায় এবং পরে দুই পায়ে গুলি করে গুরুতর আহত করে।’

কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, সোহেল নামের একজন হাতে কোপ ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।

প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সভাপতি ফারুক আহমেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আজমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনায় মামলাও হয়েছে।