কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন স্থগিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পদ থেকে অধ্যাপক মো. আবু তাহেরের অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবু তাহেরের পদে কর্মকর্তাদের কাউকে স্থলাভিষিক্ত না করলে আবার আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। আজ সোমবার দিনভর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তাঁরা।

রেজিস্ট্রারের অপসারণ ছাড়াও পদোন্নতিসহ একাধিক দাবিতে প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠকে কথা বলেছেন। এরপর বিকেল চারটার দিকে কর্মসূচি স্থগিত করে রেজিস্ট্রারের দপ্তরের তালা খুলে দেন তাঁরা।

আন্দোলনকারী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বর্তমান উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী যোগ দেন। এরপর ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেন তিনি। একই পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তত্কালীন সহযোগী অধ্যাপক (বর্তমানে অধ্যাপক) মো. আবু তাহেরকে। এতে অসন্তুষ্ট হন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এমরান কবির চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম আবদুল মঈনকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর গত বুধবার রেজিস্ট্রার আবু তাহেরের অপসারণের দাবিতে তাঁকে নিজ দপ্তরে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সন্ধ্যা সাতটার পর রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বের হলে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। টানা পাঁচ দিনের আন্দোলনে প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বসেন সহ–উপাচার্য মো. হুমায়ুন কবির ও কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান। তাঁদের অনুরোধে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা- কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা জাকির হোসেন বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রার দিতে হবে। অন্যথায় পুনরায় আন্দোলন চলবে।