কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি নির্বাচন কমিশন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ২০২১ সালের নির্বাচন কেন্দ্র করে বিবদমান দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি নির্বাচন কমিশন করে একই দিন একই সময়ে একই স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ওই নির্বাচন হবে।

আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন চন্দ্র মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘রাজনীতিমুক্ত’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাকালে শিক্ষক রাজনীতি আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘রাজনীতিমুক্ত’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাকালে শিক্ষক রাজনীতি আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,  বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ১৫ সদস্যের মধ্যে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষে সভাপতিসহ আটজন; আরেক পক্ষে সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, সহসভাপতিসহ সাতজন রয়েছেন। গত ৩০ নভেম্বর সভাপতি মো. রশিদুল ইসলাম শেখের পক্ষ ভার্চ্যুয়াল সভা করে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম রায়হান উদ্দিনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে তিন সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে। ওই কমিটি গঠনকে গঠনতন্ত্রবিরোধী দাবি করে সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ আজ বেলা আড়াইটায় ভার্চ্যুয়াল সভা করে পাল্টা নির্বাচন কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। এতে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হককে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়। উভয় পক্ষ একই দিন একই সময়ে নির্বাচন আহ্বান করে। একই সঙ্গে তফসিলও ঘোষণা করা হয়।

সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির একাংশ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র ভেঙে গত ৩০ নভেম্বর মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করে। কিন্তু গঠনতন্ত্র মোতাবেক যেকোনো সভা শেষ হওয়ার পর আরেকটি সভা হতে ন্যূনতম ছয় ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে হয়। অবৈধভাবে ডাকা ওই সভায় সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি-১, কোষাধ্যক্ষসহ সাতজন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। অবৈধ সভায় শিক্ষক সমিতির একটি অংশ ২০২১ সালের নির্বাচনের জন্য একটি প্রহসনের নির্বাচন কমিশন গঠন করে, যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। নির্বাচন কমিশন ঘোষণায় সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের কোনো সই বা সম্মতি নেই। এটি গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ওরা গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করায় আমরা তফসিল ঘোষণা করেছি।’

জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘গঠনতন্ত্র মোতাবেক তফসিল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও গঠন করা হয়েছে।’