কুমিল্লায় এক দিনে করোনায় মারা গেছেন সাতজন

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে কুমিল্লায় আজ শনিবার সাতজন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও একজন নারী। জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. সাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়া এই সাতজনের মধ্যে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ৯০ ও ৬০ বছরের ২ জন পুরুষ এবং ৫৪ বছরের ১ জন নারী রয়েছেন। এ ছাড়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ৭১ ও ৫০ বছরের ২ জন পুরুষ, চান্দিনা উপজেলার ৮৫ বছরের ১ পুরুষ এবং দেবীদ্বার উপজেলায় ৭৯ বছরের ১ জন পুরুষ রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২০।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়মিত তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, আজ কুমিল্লা জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৯১ জন। তাঁদের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছেন ৫৫ জন, লাকসাম উপজেলায় রয়েছেন ৯ জন, চৌদ্দগ্রাম ও দাউদকান্দি উপজেলায় রয়েছেন ৭ জন করে, বুড়িচং উপজেলায় রয়েছেন ৫ জন, সদর দক্ষিণ ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় রয়েছেন ৩ জন করে, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ ও বরুড়া উপজেলায় রয়েছেন ২ জন করে, দেবীদ্বার, আদর্শ সদর ও চান্দিনা উপজেলায় ১ জন করে শনাক্ত হয়েছেন।

আজ কুমিল্লা জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৯১ জন। এ নিয়ে কুমিল্লা জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলেন ১০ হাজার ৬০০ জন।

এ নিয়ে কুমিল্লা জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলেন ১০ হাজার ৬০০ জন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৫৫ জন। মারা গেছেন ৩২০ জন। গত বছরের ৭ এপ্রিল এই জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১১ এপ্রিল। কুমিল্লার ১৭টি উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ৭০৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৬০ হাজার ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে।

জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. সাহাদাত হোসেন বলেন, কুমিল্লার হাটবাজারে মানুষের জটলা রয়েছে। সড়কে মানুষ। মাস্ক নেই বেশির ভাগ বাইরে থাকা লোকের মুখে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়েও কোনো সচেতনতা তৈরি করা যাচ্ছে না।

কুমিল্লার হাটবাজারে মানুষের জটলা রয়েছে। সড়কে মানুষ। মাস্ক নেই বেশির ভাগ বাইরে থাকা লোকের মুখে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়েও কোনো সচেতনতা তৈরি করা যাচ্ছে না।
মো. সাহাদাত হোসেন, জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন

জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সচেতনতা বোধ জাগ্রত করতে হবে। সতর্ক ও সচেতন না হলে সংক্রমণ বাড়বে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কুমিল্লা শহরে ঘনবসতি বেশি, গা ঘেঁষে লোকজন বিভিন্ন স্থানে চলাফেরা করেন। এটা বন্ধ করতে হবে। গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতে তো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মাস্ক পরতেই হবে। সচেতন না হলে রক্ষা নেই।