কুমিল্লায় করোনায় এক দিনে পাঁচজনের মৃত্যু

করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে মানুষের দীর্ঘ লাইন। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে
ছবি: এম সাদেক

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে কুমিল্লা জেলায় আজ বৃহস্পতিবার এক দিনে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ৫৭ ও ২৮ বছরের দুজন পুরুষ ও ৪০ বছরের এক নারী আছেন। এ ছাড়া চান্দিনা উপজেলায় ৮৫ বছরের একজন পুরুষ ও ৩২ বছরের এক নারী মারা গেছেন। এ নিয়ে গত আট দিনে জেলায় করোনায় মারা গেছেন ২৩ জন।

আজ বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া পাঁচজনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থিত কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে কুমিল্লায় আজ বৃহস্পতিবার ৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ৫৭ জন, চৌদ্দগ্রামে ৮ জন, বুড়িচংয়ে ৪ জন, মুরাদনগর ও আদর্শ সদরে ৩ জন করে, চান্দিনা ও ব্রাহ্মণপাড়ায় ২ জন, লালমাই, মনোহরগঞ্জ, সদর দক্ষিণ উপজেলায় ১ জন করে। এদিন কোনো রোগী সুস্থ হননি।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলায় ১ এপ্রিল থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত আট দিনে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫৮৫ জন। তাঁদের মধ্যে কুমিল্লা শহরে ৩৯১ জন। বাকি ১৮৪ জন রোগী কুমিল্লার ১৭ উপজেলার। এ ছাড়া গত আট দিনে এই জেলায় করোনায় মারা গেছেন ২৩ জন। তাঁদের মধ্যে শহরে ১৩ জন।

শুধু কুমিল্লা শহরে বৃহস্পতিবার ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন তিনজন। এ ছাড়া ৭ এপ্রিল ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়, মারা গেছেন ২ জন। ৬ এপ্রিল ৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ৫ এপ্রিল ১৪ জন এবং ৪ এপ্রিল ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ৪ এপ্রিল মারা গেছেন ৩ জন। ৩ এপ্রিল শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২৬ জন ও মৃত্যু ২ জন। ২ এপ্রিল ৭৮ জন করোনায় সংক্রমিত হন এবং মারা যান দুজন। ১ এপ্রিল শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩৪ জন, এদিন মারা যান ১ জন।

কুমিল্লা জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪২০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৫৫ জন। মারা গেছেন ৩১১ জন। গত বছরের ৭ এপ্রিল এই জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১১ এপ্রিল।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, নানা ধরনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক কর্মসূচি, খেলাধুলা হওয়ার কারণে মানুষ ঘিঞ্জি পরিবেশে ছিল। এ কারণে সংক্রমণ বেড়েছে। তার ওপর কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি শহরে মানা হচ্ছে না। শহরের মানুষ পরীক্ষার সুযোগ নেয় বেশি, তাই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি শনাক্ত হচ্ছে।