কুষ্টিয়া পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষ: কাউন্সিলরসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা

কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৩ নম্বর বারখাদা ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলায় আহত মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

কুষ্টিয়ায় পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার রাতে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সোহেল সরকার (৫০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ত্রিমোহনী এলাকার বাসিন্দা। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগামী ১৬ জানুয়ারি এই পৌরসভার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকদের ওপর বর্তমান কাউন্সিলর ও আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী রবিউল ইসলামের কর্মীরা হামলা চালান। এতে কয়েকজন আহত হন। সোহেল নামে মাহবুবুরের এক কর্মীকে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় মাজহারুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান নামের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। মামলার প্রধান আসামি হলেন ১৩ নম্বর বারখাদা ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম। অন্য আসামিরা হলেন বারখাদা ত্রিমোহনী এলাকার তুজাম্মেল হক (৫৫), নাসির উদ্দিন (৩৭), রুবেল হোসেন (৩৫), বাদশা মালিথা (৪৫), বসির উদ্দিন মালিথা (৩৫), শাহিন উদ্দিন (৩৫), বারখাদা উত্তরপাড়ার সিরাজুল ইসলাম (৩৮), বারখাদা মধ্যপাড়ার আব্দুল গফুর (৪২), আব্দুল বারেক (৩৭), আসাদুল হক (৩৭), ত্রিমোহনী এলাকার আনোয়ারুল করিম (৫৪), মোহাম্মদ লিপু হোসেন (২০), ফারুক হোসেন (৩২) ও মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া এলাকার বিশারত আলী (২৮)।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, আনোয়ারুল করিম, মোহাম্মদ লিপু হোসেন, ফারুক হোসেন ও বিশারত আলীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।