কুষ্টিয়ায় এনআইডি জালিয়াতি: নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করার অভিযোগে চার নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে জিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ একাধিক আইনে দুটি মামলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া মডেল থানা ও কুমারখালী থানায় মামলা দুটি করেন কুষ্টিয়া জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।

রোববার রাতে আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পৃথক দুটি মামলার বিষয় গতকাল নির্বাচন কমিশনে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে যাঁরা আসামি, তাঁরা কর্মস্থলে না আসায় তাঁদের স্থলে কারা দায়িত্ব পালন করবেন, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিরা হলেন ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (সাবেক জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা) নওয়াবুল ইসলাম, ফরিদপুরের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (সাবেক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা) জিয়াউর রহমান, মাগুরা সদরের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (সাবেক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা) অমিত কুমার দাস ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক জি এম সাদিক।

ভোটার তালিকা আইন, ২০১৯–এর ধারা ২০, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০–এর ধারা ১৭ ও ১ পেনাল কোডের ১৮৬০ সালের ধারা ৪২০, ৪৬৮ ও ১০৯ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ সালের ২৪, ৩৩ ও ৩৫ ধারায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করা হয়।

কুষ্টিয়া শহরের বাসিন্দা এম এম এ ওয়াদুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম ও তথ্য দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ছয় ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের অভিযোগসংক্রান্ত তদন্তে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ায় মামলা হয়েছে।

কুমারখালী থানায় দায়ের হওয়া মামলার একমাত্র আসামি হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (সাবেক কুমারখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা) ছামিউল আলম। ভোটার তালিকা আইন, ২০১৯–এর ধারা ১৮, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০–এর ধারা ১৭ ও ১ পেনাল কোডের ১৮৬০ সালের ধারা ৪২০, ৪৬৮ ও ১০৯ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ সালের ২৪ ও ৩৫ ধারায় এ মামলা করা হয়।

মামলার বাদী জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ‘গত ২৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে এই আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য আমাকে জানানো হয়। এ ব্যাপারে সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে আলাপ করে আদালতে যাওয়া হয়। সম্প্রতি আদালত থানায় পৃথক দুটি ফৌজদারি মামলা করার জন্য বলেন। এরপর ৪ মার্চ পৃথক দুটি মামলা করা হয়। মামলা করার পর নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুষ্টিয়া শহরের বাসিন্দা এম এম এ ওয়াদুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম ও তথ্য দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ছয় ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের অভিযোগসংক্রান্ত তদন্তে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।